কুড়িগ্রামে বিয়ে বাড়িতে কনের গয়না নিয়ে বর ও কনেপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কনের দাদি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বরসহ ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাতে জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার কেদার ইউনিয়নের গোলের হাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কনের দাদির নাম তহুরন নেছা (৭০)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার গোলের গ্রামের নূরজামাল ইসলামের মেয়ে জেসমিন আকতারের সঙ্গে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ঘুণ্টিঘর এলাকার আলীফ উদ্দিনের ছেলে রাইসুল ইসলাম রিপনের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বরযাত্রী আসে কনের বাড়িতে। খাওয়া-দাওয়া শেষে কনেকে সাজাতে গিয়ে বরপক্ষের দেওয়া গয়না নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। এর একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন কনের দাদি তহুরন নেছা। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মার যান।
কনের মা রুপালী পারভীন বলেন, ‘বরপক্ষের দুইটি সোনার গয়না দেওয়ার কথা ছিল। কনে সাজানোর সময় সেগুলো না দেওয়ায় দু’পক্ষের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। পরে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় আমার শাশুড়িকে তারা মারপিটিয়ে গুরতর আহত করে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। ’
খবর পেয়ে রাতেই কচাকাটা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বরসহ ১২ জনকে আটক করে।
এ বিষয়ে কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা জানান, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।